টেকনাফ প্রতিনিধি: টেকনাফের হ্নীলার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম দ্বিনি শিক্ষাপ্রতিষঠান শাহ মজিদিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৮ জুন (মঙ্গলবার)সকাল ১০ টার হ্নীলা শাহ মজিদিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা মিলনায়তনে মাদ্রাসার প্রাক্ত ছাত্র পরিষদের কনভেইনার জিয়াউল হোছাইন কায়সারের সভাপতিত্বে প্রাক্তন ছাত্রওব্যাংকার নুরুল বশরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ঈদপূর্ণমিলনী অনুষ্টানপবিত্র কুরআনুল কারিম তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ১৯৮২ সালে এই মাদ্রাসা থেকে দাখিল ১ম ব্যাচের ছাত্র ও বর্তমান অধ্যক্ষ,হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান,কক্সবাজার জেলা জাময়াত আমীর মাওঃ নুরআহমদ আনোয়ারী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুনিয়াপালং উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক,এডভোকেট মুহাম্মদ শাহজাহান,বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন ছাত্র ও বদরখালী ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওঃ সাঈদ আহমদ তারেক,প্রাক্তন ছাত্রও উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচালক, ডাঃ মুজিবুল হক, প্রাক্তনছাত্রওব্যবসায়ী,আব্দুল মাবুদ,প্রাক্তন ছাত্রও মৌলভীবাজার জমিরিয়া দারুল কুরআন সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যাপক আব্দুল গফুর, প্রাক্তন ছাত্র ও টেকনাফ বায়তুশশরফ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল হোছাইন হেলালী,প্রাক্তন ছাত্র সিরাজুল কবির,প্রাক্তন ছাত্রও অত্র মাদ্রাসার বাংলা প্রভাষক নুরুল আমিন, প্রাক্তন ছাত্র মাহবুবুর রহমান,প্রাক্তন ছাত্র এডভোকেট সাঈুল ইসলাম সাঈদ,এডভোকেট হাফেজ আব্দূর রহিম,মাওঃ আবুবকরপ্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাচের প্রাক্তন ভাইয়েরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭৬ সালে হ্নীলার বিশিষ্ট জনদের উদ্যোগের ফসল ঐতিহ্যবাহী হ্নীলা শাহ মজিদিয়া আলিম মাদ্রাসা।যে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা লাভকরারপর ১৯৮২ সালে সর্বপ্রথম দাখিল ব্যাচ শুরু হয় তখন অধ্যাবদি উক্ত মাদ্রাসাথেকে কুরআনে হাফেজ,ডাক্তার, এডভোকেট,শিক্ষক প্রভাষক,ইন্জিনিয়ার,ব্যাংকার,সামরিক বে সামরিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ,প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী,প্রবাসী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জন্মহয় এবং দেশ ও সমাজের বিভিন্ন স্থরে সুনামের সহিত ভুমিকা পালন করে আসছে।
ইনশাআল্লাহ এসব ব্যক্তিরা যদি সদইচ্ছা পোষণ করে এগিয়ে আসে তাহলে প্রাক্ত ছাত্রপরিষদের পরিসর আরো বিস্তৃতি লাভ করবেএবং সমাজও রাষ্ট্রে যুগান্তকারী ভুমিকা রাখতে সহায়ক হবে। তাই দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন সেক্টরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সকল প্রাক্তন ভাইদের এগিয়ে আসতে হবে। পরিশেষে দেশ ও বিভিন্ন নির্যাতিত রাষ্ট্র সহ বিশ্বময় শান্তির আগামীর জন্য দোয়া করে মুনাজাত পরিচালনার মধ্যদিয়ে ঈদ পূর্ণ মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটানো হয়।
পাঠকের মতামত